ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মঙ্গল গ্রহে ‘সোনার খনি’! অবাক হল নাসার বিজ্ঞানীরা

নিউজ ডেক্স
  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"curves":1,"enhance":2},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: মঙ্গল নিয়ে মানুষের কল্পনার অন্ত নেই। তবে এবার মঙ্গল গ্রহ নিয়ে বিরাট ভাবনা এল নাসার মনে। মঙ্গলে নাকি সোনার খনি রয়েছে। নাসার রোভার যে পাথরের ছবি দিয়েছে সেখান থেকে এমনটাই অনুমান করা হয়েছে।

নাসার রোভারটি মঙ্গলে ঘুরছিল। ঠিক সেই সময় তার চাকা একটি জায়গায় আটকে যায়। সেই পাথরটির ছবি তুলে পাঠানোর পরই নাসার বিজ্ঞানীদের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। তারা মনে করছেন এটি একটি সোনার পাথর। ফলে এখানে সোনার খনি থাকতেই পারে।

রোভার মঙ্গল থেকে সাতটি পাথরের ছবি দিয়েছে। তাদের মধ্যে এই পাথরের রং সবথেকে বেশি চিন্তায় ফেলেছে নাসাকে। বিগত ৪ মাস ধরে রোভার ঘুরছে মঙ্গলের মাটিতে। তবে এই পাথরের রং একেবারে আলাদা।

পৃথিবীর মতো মঙ্গল কোনও এক সময়ে আগ্নেয়পিন্ড ছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে শীতল হয়েছে সে। তবে প্রাণের সঞ্চার হয়নি বলে মঙ্গলের বুকে হয়তো থেকে গিয়েছে এই সোনার খনিগুলি।

মঙ্গল থেকে জল হারিয়ে গিয়েছে বহু বছর আগে। তবে শুকনো মঙ্গলের মাটি থেকে ঠিকরে বেরিয়ে এসেছে এই সোনার রং। সোনা হল এমন একটি ধাতু যে মাটির নিচ থেকে সহজে বেরিয়ে আসতে পারে। সেদিক থেকে দেখলে মঙ্গলের এই সোনা এবার সকলের নজর কাড়বে।

যদি মঙ্গলে সোনার দেখা মেলে তাহলে সেখান থেকে নতুন আরও সম্পদের হদিশ মিলতে পারে। যেখানে সোনার খনি থাকে সেখানে অন্য রত্ন থাকতে পারে।

এই ধরণের পাথর প্রমাণ করে মঙ্গলে জল থাকলেও থাকতে পারে। তবে সেই জল গ্যাসের আকারে রয়েছে। থাকতে পারে হারিয়ে যাওয়া প্রাণীদের সন্ধানও।

তবে মঙ্গলের বর্তমান পরিস্থিতি যেখানে রয়েছে সেখান থেকে এখানে প্রাণ থাকা সম্ভব নয়। মঙ্গলে দিন এবং রাতে যে তাপমাত্রার হেরফের হয় তাতে এখানে কারও পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।

তবে নাসার রোভার এই সোনার রঙের পাথরের একটি টুকরো নিজের কাছে রেখেছে। যদি রোভারকে ফিরিয়ে আনা হয় তাহলে সেখান থেকে হয়তো অনেক কিছু জানা যাবে।

তবে কবে রোভার পৃথিবীতে ফিরবে তা নিয়ে কেউ নিশ্চিত নয়। মনে করা হচ্ছে ২০৪০ সালে হয়তো রোভার ফিরবে। তার আগে এই সকল কাজ রহস্য থেকে যাবে।

তথ্যসুত্রঃ Ajkal_in

নিউজটি শেয়ার করুন

মঙ্গল গ্রহে ‘সোনার খনি’! অবাক হল নাসার বিজ্ঞানীরা

আপডেট সময় : ০৮:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: মঙ্গল নিয়ে মানুষের কল্পনার অন্ত নেই। তবে এবার মঙ্গল গ্রহ নিয়ে বিরাট ভাবনা এল নাসার মনে। মঙ্গলে নাকি সোনার খনি রয়েছে। নাসার রোভার যে পাথরের ছবি দিয়েছে সেখান থেকে এমনটাই অনুমান করা হয়েছে।

নাসার রোভারটি মঙ্গলে ঘুরছিল। ঠিক সেই সময় তার চাকা একটি জায়গায় আটকে যায়। সেই পাথরটির ছবি তুলে পাঠানোর পরই নাসার বিজ্ঞানীদের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। তারা মনে করছেন এটি একটি সোনার পাথর। ফলে এখানে সোনার খনি থাকতেই পারে।

রোভার মঙ্গল থেকে সাতটি পাথরের ছবি দিয়েছে। তাদের মধ্যে এই পাথরের রং সবথেকে বেশি চিন্তায় ফেলেছে নাসাকে। বিগত ৪ মাস ধরে রোভার ঘুরছে মঙ্গলের মাটিতে। তবে এই পাথরের রং একেবারে আলাদা।

পৃথিবীর মতো মঙ্গল কোনও এক সময়ে আগ্নেয়পিন্ড ছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে শীতল হয়েছে সে। তবে প্রাণের সঞ্চার হয়নি বলে মঙ্গলের বুকে হয়তো থেকে গিয়েছে এই সোনার খনিগুলি।

মঙ্গল থেকে জল হারিয়ে গিয়েছে বহু বছর আগে। তবে শুকনো মঙ্গলের মাটি থেকে ঠিকরে বেরিয়ে এসেছে এই সোনার রং। সোনা হল এমন একটি ধাতু যে মাটির নিচ থেকে সহজে বেরিয়ে আসতে পারে। সেদিক থেকে দেখলে মঙ্গলের এই সোনা এবার সকলের নজর কাড়বে।

যদি মঙ্গলে সোনার দেখা মেলে তাহলে সেখান থেকে নতুন আরও সম্পদের হদিশ মিলতে পারে। যেখানে সোনার খনি থাকে সেখানে অন্য রত্ন থাকতে পারে।

এই ধরণের পাথর প্রমাণ করে মঙ্গলে জল থাকলেও থাকতে পারে। তবে সেই জল গ্যাসের আকারে রয়েছে। থাকতে পারে হারিয়ে যাওয়া প্রাণীদের সন্ধানও।

তবে মঙ্গলের বর্তমান পরিস্থিতি যেখানে রয়েছে সেখান থেকে এখানে প্রাণ থাকা সম্ভব নয়। মঙ্গলে দিন এবং রাতে যে তাপমাত্রার হেরফের হয় তাতে এখানে কারও পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।

তবে নাসার রোভার এই সোনার রঙের পাথরের একটি টুকরো নিজের কাছে রেখেছে। যদি রোভারকে ফিরিয়ে আনা হয় তাহলে সেখান থেকে হয়তো অনেক কিছু জানা যাবে।

তবে কবে রোভার পৃথিবীতে ফিরবে তা নিয়ে কেউ নিশ্চিত নয়। মনে করা হচ্ছে ২০৪০ সালে হয়তো রোভার ফিরবে। তার আগে এই সকল কাজ রহস্য থেকে যাবে।

তথ্যসুত্রঃ Ajkal_in