ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমন্বয়ক পরিচয়ে অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২ চাযের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে যুবলীগ নেতা পুলিশের হাতে আটক হাতে ছুরি নিয়ে বিমান হাইজ্যাকের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন সহযাত্রী, মাঝআকাশে তুমুল হইচই চমেক হাসপাতাল থেকে পালানো হাতকড়াসহ সন্ত্রাসী রফিক গ্রেফতার বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী পাকিস্তানের সাথে ঐতিহাসিকভাবে অমীমাংসিত বিষয়সমূহের নিষ্পত্তি চাই চট্টগ্রাম নগরীতে কোস্টগার্ডের অভিযানে মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ফটিকছড়িতে বাঁশের সেতু পার হওয়ার সময় নদীতে পরে এক যুবক নিখোঁজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আলিউজ্জামানকে কুপিয়ে জখম খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ মোট ৬ জনকে অপহরণ সিটি কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

চমেক হাসপাতাল থেকে পালানো হাতকড়াসহ সন্ত্রাসী রফিক গ্রেফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: চমেক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া মহেশখালীর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কাটা রফিককে হাতকড়াসহ ২৪ ঘণ্টার মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে পেকুয়া এলাকার সৎ বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পাঁচলাইশ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানা পুলিশের সহায়তায় সন্ত্রাসী রফিককে গ্রেফতার করে। হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সে মহেশখালীর বাড়িতে না গিয়ে পেকুয়া সদরের বাইন্যাখালি ২ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ আলী ফকির বাড়ির সৎ বোনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল। রাতেই তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি দল গত ১৬ মার্চ ডাকাতির জন্য সংঘবদ্ধ হওয়া একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে ধরতে অভিযান চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা কোস্টগার্ডকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। কোস্টগার্ডও পাল্টা গুলি চালায়। কোস্টগার্ডের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় মহেশখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ির মফিজুর রহমান ওরফে মজু বলির পুত্র রফিকুল ইসলাম ওরফে কাটা রফিক। কোস্টগার্ড অস্ত্রশস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলিসহ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ হেফাজতে কঙবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। হাসপাতালে সিএমপির দুই পুলিশ সদস্য তাকে পাহারা দিচ্ছিল। কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় খুন, ধর্ষণ, ডাকাতিসহ প্রায় এক ডজন মামলার আসামি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশের মাঝে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

চমেক হাসপাতাল থেকে পালানো হাতকড়াসহ সন্ত্রাসী রফিক গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৭:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: চমেক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া মহেশখালীর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কাটা রফিককে হাতকড়াসহ ২৪ ঘণ্টার মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে পেকুয়া এলাকার সৎ বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পাঁচলাইশ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানা পুলিশের সহায়তায় সন্ত্রাসী রফিককে গ্রেফতার করে। হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সে মহেশখালীর বাড়িতে না গিয়ে পেকুয়া সদরের বাইন্যাখালি ২ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ আলী ফকির বাড়ির সৎ বোনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল। রাতেই তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি দল গত ১৬ মার্চ ডাকাতির জন্য সংঘবদ্ধ হওয়া একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে ধরতে অভিযান চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা কোস্টগার্ডকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। কোস্টগার্ডও পাল্টা গুলি চালায়। কোস্টগার্ডের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় মহেশখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ির মফিজুর রহমান ওরফে মজু বলির পুত্র রফিকুল ইসলাম ওরফে কাটা রফিক। কোস্টগার্ড অস্ত্রশস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলিসহ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ হেফাজতে কঙবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। হাসপাতালে সিএমপির দুই পুলিশ সদস্য তাকে পাহারা দিচ্ছিল। কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় খুন, ধর্ষণ, ডাকাতিসহ প্রায় এক ডজন মামলার আসামি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশের মাঝে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।