ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমন্বয়ক পরিচয়ে অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২ চাযের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে যুবলীগ নেতা পুলিশের হাতে আটক হাতে ছুরি নিয়ে বিমান হাইজ্যাকের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন সহযাত্রী, মাঝআকাশে তুমুল হইচই চমেক হাসপাতাল থেকে পালানো হাতকড়াসহ সন্ত্রাসী রফিক গ্রেফতার বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী পাকিস্তানের সাথে ঐতিহাসিকভাবে অমীমাংসিত বিষয়সমূহের নিষ্পত্তি চাই চট্টগ্রাম নগরীতে কোস্টগার্ডের অভিযানে মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ফটিকছড়িতে বাঁশের সেতু পার হওয়ার সময় নদীতে পরে এক যুবক নিখোঁজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আলিউজ্জামানকে কুপিয়ে জখম খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ মোট ৬ জনকে অপহরণ সিটি কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
চন্দনাইশ পৌর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে

কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা, দেখে ফেলায় নানা-নানীকে জবাই করে হত্যা চেষ্টা

চন্দনাইশ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় নানার বাড়ীতে বেড়াতে আসা কলেজ পড়ুয়া আরজু আকতার (২০) কে সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকার নাজিম ধর্ষণের পর হত্যা করে। ঘটনা দেখে ফেলায় আরজু’র নানা- নানীকে জবাই করে হত্যা চেষ্টা করে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

আরজু’র পরিবার সুত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার নানার বাড়িতে আসে কলেজ শিক্ষার্থী আরজু আকতার (২০)। আরজু নানার বাড়িতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে নাজিম তার খালার বাড়িতে আসে। রাত ২টার দিকে আরজু বাথরুমে গেলে সুযোগ বুঝে নাজিমও বাথরুমে ডুকে প্রথমে ভাগনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আরজুর মুখের ভিতর কাপড় ডুকিয়ে ওড়না দিয়ে পেছিয়ে তাকে হত্যা করে।
মেয়ের চিৎকার শুনে মেয়ের আরজুর নানা-নানির ঘুম ভেঙে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলে নাজিম তাদেরকে জবাই করে হত্যা করার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নাজিম পালিয়ে যায়।

এসময় স্থানীয়রা রক্তান্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগম (৬০)কে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

নাজিম উদ্দীন (২৮) এর আপন খালাতো বোনের মেয়ে আরজু।

ফরিদা বেগমের অবস্থা আংকাজনক বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরজুর লাশ উদ্ধার করে চন্দনাইশ পুলিশ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

চন্দনাইশ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আমিনুল্লাহ জানান, মেয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর নাজিমও বেড়াতে আসে সেখানে। মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে সুযোগ বুঝে নাজিম ভাগনি আরজুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে আরজুকে হত্যা করে। নানি দেখে ফেলায় নানা এবং নানি দুজনকেই কুপিয়ে জবাই করার চেষ্টা করে।

তারা দুজন এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশের সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরীর ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চন্দনাইশ পৌর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে

কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা, দেখে ফেলায় নানা-নানীকে জবাই করে হত্যা চেষ্টা

আপডেট সময় : ০৭:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় নানার বাড়ীতে বেড়াতে আসা কলেজ পড়ুয়া আরজু আকতার (২০) কে সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকার নাজিম ধর্ষণের পর হত্যা করে। ঘটনা দেখে ফেলায় আরজু’র নানা- নানীকে জবাই করে হত্যা চেষ্টা করে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

আরজু’র পরিবার সুত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার নানার বাড়িতে আসে কলেজ শিক্ষার্থী আরজু আকতার (২০)। আরজু নানার বাড়িতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে নাজিম তার খালার বাড়িতে আসে। রাত ২টার দিকে আরজু বাথরুমে গেলে সুযোগ বুঝে নাজিমও বাথরুমে ডুকে প্রথমে ভাগনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আরজুর মুখের ভিতর কাপড় ডুকিয়ে ওড়না দিয়ে পেছিয়ে তাকে হত্যা করে।
মেয়ের চিৎকার শুনে মেয়ের আরজুর নানা-নানির ঘুম ভেঙে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলে নাজিম তাদেরকে জবাই করে হত্যা করার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নাজিম পালিয়ে যায়।

এসময় স্থানীয়রা রক্তান্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগম (৬০)কে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

নাজিম উদ্দীন (২৮) এর আপন খালাতো বোনের মেয়ে আরজু।

ফরিদা বেগমের অবস্থা আংকাজনক বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরজুর লাশ উদ্ধার করে চন্দনাইশ পুলিশ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

চন্দনাইশ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আমিনুল্লাহ জানান, মেয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর নাজিমও বেড়াতে আসে সেখানে। মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে সুযোগ বুঝে নাজিম ভাগনি আরজুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে আরজুকে হত্যা করে। নানি দেখে ফেলায় নানা এবং নানি দুজনকেই কুপিয়ে জবাই করার চেষ্টা করে।

তারা দুজন এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশের সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরীর ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।