ঢাকা ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মহেশখালীতে সন্ত্রাসীেদের হাতে ছুরিকাঘাতে এক বিএনপি কর্মীকে খুন রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ চট্টগ্রামে পিকআপের চাপায় আরিফুল ইসলাম বাবলু নামে ১ যুবক নিহত চট্টগ্রামে ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসির উপস্থিতিতে এনসিপি ও নাগরিক কমিটির দু’পক্ষের মারামারি চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক আরও ২৮ সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ারা উপজেলার মোহাম্মদ সবুজের মৃত্যু রাঙ্গামাটিতে লংগদু স্টুডেন্ট ফোরামের ঈদ পরবর্তী পূর্ণমিলনী উদযাপন চট্টগ্রামের ডিসি হিলে নববর্ষের অনুষ্ঠান মঞ্চে হামলা সারা দেশে সব মসজিদে একই সময় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দক্ষিণ চট্টগ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী পুলিশের হাতে আটক
বোয়ালখালীতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান

বোয়ালখালী পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকায় জনমনে স্বস্তি! সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৫

বোয়ালখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

বোয়ালখালীর পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকাটি দীর্ঘকাল সন্ত্রাসীদের জনপদ হিসেবে পরিচিত। এলাকাবাসী বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায় এই এলাকায় প্রচুর অস্ত্র গোলাবারুদ মজুদ আছে।
০৭ এপ্রিল (সোমবার) ভোর রাতে বোয়ালখালী থানার চরণদ্বীপ এলাকায় স্থানীয় সোর্স এবং এলাকার মানুষের তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে বোয়ালখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী আলম বাহিনীর প্রধান সহযোগী ঘ্যাস বাবুলসহ ০৪ জন সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতাকে লোকাল গান, এ্যামোনিশন, দেশীয় অস্ত্র, মোবাইল, গাজা, দেশি মদ, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ সহ আটক করে।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ মুজাহিদের পুত্র শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্যাস বাবুল(৫০), মাদক ব্যবসায়ী মৃত আফজাল আহম্মদের পুত্র মনজুর আলম মঞ্জু(৩৭), মৃত আনু মিয়ার পুত্র মো মুমিন হোসেন (২৪), পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত সন্ত্রাসী মো. শওকত ছল্লুর বড় ভাই মৃত হাসু মিয়ার ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৫০)। উভয়ের বাড়ী পূর্ব চরনদ্বীপ মসজিদঘাট এলাকায়।

আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে লোকাল গান ২ টি, এ্যামোনিশন ৩ টি, দেশীয় অস্ত্র ৫৭ টি, মোবাইল ০৯ টি, গাজা ৭৫০ গ্রাম, দেশি মদ ২ লিটার, বৈদেশিক মুদ্রা ৪,৭০০ দেরহাম, নগদ অর্থ ৫২,৬৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

জব্দকৃত মালামাল ও আসামিদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বোয়ালখালী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বোয়ালখালী সেনাবাহিনীর টিম সোমবার সন্ধ্যায় আটককৃত ব্যক্তি নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রেখেছে।

সন্ধ্যার পর মসজিদ ঘাট এলাকার ইয়াছিন নামে এক বিএনপির নেতাকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

সুত্র বলছে, পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকায় বিগত ৪০ বছর যাবত বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী সময়ের পরিক্রমায় গড়ে উঠেছে। শুরুটা হয় আনোয়ার বাহিনীর উত্তানের মাধ্যমে। তার আমলেই অস্ত্রের ঝনঝনি শুরু হয় পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকায়, ফরিদুল আলম বাহিনী নব্বই দশকে তার হাত কেটে দেওয়ার পর তার পতন হয়। সেই থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে মমতাজ বাহিনী ঘড়ে উঠে এলাকায় তান্ডব চালাই। মমতাজ বাহিনীর প্রধান মমতাজের হাত কেটে দেয় তারই অনুসারীরা, তারপর থেকে তার সাম্রাজ্যের পতন ঘঠে। এরপর নব্বই দশকে ভয়ংকর এক বাহিনী ঘড়ে তুলেন বিএনপি নেতা আসগর খান। তার নামে আসগর বাহিনী গঠন করে বোয়ালখালী পূর্বাঞ্চল সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। খুন, গুম, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, নারী নির্যাতন সহ অনেক অপকর্মে জড়িত ছিল এই বাহিনী। ১৯৯৪ সালে তার গ্রুপের কতিপয় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার মৃত্যুর পর তার আপন ভাই তৎকালীন যুবদল নেতা আক্কাস খান এই বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তৎ সময় আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম আরেকটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। জনশ্রুতি আছে ১৯৯৭ সালে ফরিদুল আলম চেয়ারম্যানকে আক্কাস ও রাউজানের সন্ত্রাসীরা খুন করে কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয়। এরপর শুরু হয় আলম বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম, আলম ও তার আপন ভাই বদিউল আলম বদি এলাকায় ত্রাস শুরু করেন। ২০০৪ সালে পুলিশের ক্রসফায়ারের বদি নিহত হলে আলম বাহিনীর প্রধান মো. আলম বিদেশ পাড়ি দিলে কিছুটা এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলে মালম বাহিনী গঠিত হয়ে মালম নিজেই পুনরায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেন। তৎকালীন সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব মালমকে মদদ দিত তা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পতিত সরকারের আমলে মালম বাহিনী এলাকায় খুনখুনি, পেশী শক্তির প্রভাব বেড়ে গেলে পুলিশ মালমকে হন্য হয়ে খুঁজে বেড়ালে সে বিদেশ পাড়ি দেয়।

গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকায় দীর্ঘদিন ঘাপটি মেরে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গর্ত থেকে বেরিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে তৎপর হয়ে উঠেছে অতীতের চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসীরা আতঙ্ক ছড়াতে এলাকায় মধ্যে মাদক বিক্রয়, গুলিবর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অবৈধ বালুসহ জায়গা জমি দখলের ঘটনাও ঘটাচ্ছে। বর্তমানে আলম বাহিনী ও আক্কাছ বাহিনী এলাকাটি নিজের নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত। ফলে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ছে বোয়ালখালী পূর্ব চরনদ্বীপের জনপদ।

সোমবার ভোর রাতে সেনাবাহিনী বিশেষ অভিযানে আলম বাহিনীর প্রধান সহযোগী গ্যাস বাবুলসহ ৪ জন আটক হলে জনমনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যাচ্ছে।

বর্তমানে আক্কাছ বাহিনী ও আলম বাহিনীর সদস্য রাশেদবখতিয়ার, জফুর, আবু, সানি, নাঈম, দিদার, নুরু মেম্বার, শহিদ, আনচার, মনিরদের গ্রেফতার করার জোর দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।

বোয়ালখালী সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল বলেন, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরণের অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো আটককৃতরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক ও অস্ত্র-মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আরও বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, সেনাবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলমান, এবিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পরে জানানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বোয়ালখালীতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান

বোয়ালখালী পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকায় জনমনে স্বস্তি! সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৫

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

বোয়ালখালীর পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকাটি দীর্ঘকাল সন্ত্রাসীদের জনপদ হিসেবে পরিচিত। এলাকাবাসী বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায় এই এলাকায় প্রচুর অস্ত্র গোলাবারুদ মজুদ আছে।
০৭ এপ্রিল (সোমবার) ভোর রাতে বোয়ালখালী থানার চরণদ্বীপ এলাকায় স্থানীয় সোর্স এবং এলাকার মানুষের তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে বোয়ালখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী আলম বাহিনীর প্রধান সহযোগী ঘ্যাস বাবুলসহ ০৪ জন সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতাকে লোকাল গান, এ্যামোনিশন, দেশীয় অস্ত্র, মোবাইল, গাজা, দেশি মদ, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ সহ আটক করে।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ মুজাহিদের পুত্র শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্যাস বাবুল(৫০), মাদক ব্যবসায়ী মৃত আফজাল আহম্মদের পুত্র মনজুর আলম মঞ্জু(৩৭), মৃত আনু মিয়ার পুত্র মো মুমিন হোসেন (২৪), পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত সন্ত্রাসী মো. শওকত ছল্লুর বড় ভাই মৃত হাসু মিয়ার ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৫০)। উভয়ের বাড়ী পূর্ব চরনদ্বীপ মসজিদঘাট এলাকায়।

আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে লোকাল গান ২ টি, এ্যামোনিশন ৩ টি, দেশীয় অস্ত্র ৫৭ টি, মোবাইল ০৯ টি, গাজা ৭৫০ গ্রাম, দেশি মদ ২ লিটার, বৈদেশিক মুদ্রা ৪,৭০০ দেরহাম, নগদ অর্থ ৫২,৬৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

জব্দকৃত মালামাল ও আসামিদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বোয়ালখালী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বোয়ালখালী সেনাবাহিনীর টিম সোমবার সন্ধ্যায় আটককৃত ব্যক্তি নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রেখেছে।

সন্ধ্যার পর মসজিদ ঘাট এলাকার ইয়াছিন নামে এক বিএনপির নেতাকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

সুত্র বলছে, পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকায় বিগত ৪০ বছর যাবত বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী সময়ের পরিক্রমায় গড়ে উঠেছে। শুরুটা হয় আনোয়ার বাহিনীর উত্তানের মাধ্যমে। তার আমলেই অস্ত্রের ঝনঝনি শুরু হয় পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকায়, ফরিদুল আলম বাহিনী নব্বই দশকে তার হাত কেটে দেওয়ার পর তার পতন হয়। সেই থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে মমতাজ বাহিনী ঘড়ে উঠে এলাকায় তান্ডব চালাই। মমতাজ বাহিনীর প্রধান মমতাজের হাত কেটে দেয় তারই অনুসারীরা, তারপর থেকে তার সাম্রাজ্যের পতন ঘঠে। এরপর নব্বই দশকে ভয়ংকর এক বাহিনী ঘড়ে তুলেন বিএনপি নেতা আসগর খান। তার নামে আসগর বাহিনী গঠন করে বোয়ালখালী পূর্বাঞ্চল সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। খুন, গুম, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, নারী নির্যাতন সহ অনেক অপকর্মে জড়িত ছিল এই বাহিনী। ১৯৯৪ সালে তার গ্রুপের কতিপয় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার মৃত্যুর পর তার আপন ভাই তৎকালীন যুবদল নেতা আক্কাস খান এই বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তৎ সময় আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম আরেকটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। জনশ্রুতি আছে ১৯৯৭ সালে ফরিদুল আলম চেয়ারম্যানকে আক্কাস ও রাউজানের সন্ত্রাসীরা খুন করে কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয়। এরপর শুরু হয় আলম বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম, আলম ও তার আপন ভাই বদিউল আলম বদি এলাকায় ত্রাস শুরু করেন। ২০০৪ সালে পুলিশের ক্রসফায়ারের বদি নিহত হলে আলম বাহিনীর প্রধান মো. আলম বিদেশ পাড়ি দিলে কিছুটা এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলে মালম বাহিনী গঠিত হয়ে মালম নিজেই পুনরায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেন। তৎকালীন সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব মালমকে মদদ দিত তা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পতিত সরকারের আমলে মালম বাহিনী এলাকায় খুনখুনি, পেশী শক্তির প্রভাব বেড়ে গেলে পুলিশ মালমকে হন্য হয়ে খুঁজে বেড়ালে সে বিদেশ পাড়ি দেয়।

গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে পূর্ব চরনদ্বীপ এলাকায় দীর্ঘদিন ঘাপটি মেরে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গর্ত থেকে বেরিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে তৎপর হয়ে উঠেছে অতীতের চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসীরা আতঙ্ক ছড়াতে এলাকায় মধ্যে মাদক বিক্রয়, গুলিবর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অবৈধ বালুসহ জায়গা জমি দখলের ঘটনাও ঘটাচ্ছে। বর্তমানে আলম বাহিনী ও আক্কাছ বাহিনী এলাকাটি নিজের নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত। ফলে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ছে বোয়ালখালী পূর্ব চরনদ্বীপের জনপদ।

সোমবার ভোর রাতে সেনাবাহিনী বিশেষ অভিযানে আলম বাহিনীর প্রধান সহযোগী গ্যাস বাবুলসহ ৪ জন আটক হলে জনমনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যাচ্ছে।

বর্তমানে আক্কাছ বাহিনী ও আলম বাহিনীর সদস্য রাশেদবখতিয়ার, জফুর, আবু, সানি, নাঈম, দিদার, নুরু মেম্বার, শহিদ, আনচার, মনিরদের গ্রেফতার করার জোর দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।

বোয়ালখালী সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল বলেন, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরণের অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো আটককৃতরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক ও অস্ত্র-মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আরও বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, সেনাবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলমান, এবিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পরে জানানো হবে।