ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পেকুয়া কৃষকলীগের সভাপতি মেহের আলী র‍্যাবের হাতে আটক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ওমর সানী চট্টগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হানকে আটকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বোয়ালখালীতে সেনাবাহিনীর হাতে চার সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসহ আটক অবশেষে অপহরণের ৯ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্তি পেয়েছে শিক্ষক বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’বির্তকের পর হয়ে গেলেন সমবায় ফেডারেশনের উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পুলিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যাটারি রিকশাচালকদের সংঘর্ষ, আহত ১০ চট্টগ্রামে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, উদ্ধার ১০ ভরি স্বর্ণ হাটহাজারীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২ সোনাকানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসিম নগরীর সদরঘাট এলাকায় আটক
গত তিন মাসে ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ডে রায়হান জড়িত

চট্টগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হানকে আটকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

এমডি জুনায়েদ, স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: গত এক মাসে তিনটি খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন ‘দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী’ রায়হান (৩৫)। খুন করে নগর থেকে গ্রাম দাপিয়ে বেড়ালেও কথায় কথায় গুলি ছুড়তে অভ্যস্ত রায়হানের হদিস পাচ্ছে না পুলিশ! কারাবন্দী ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের প্রধান সহযোগী হিসেবে পরিচিত রায়হান রাউজানের দক্ষিণ-পূর্ব রাউজান গ্রামের মৃত বদিউল আলমের ছেলে।

গত ২২ এপ্রিল দুপুর ১টায় রাউজান সদর ইউনিয়নের পূর্ব রাউজান ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী পাড়ায় সিএনজি ট্যাক্সি স্টেশন এলাকায় দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় ইব্রাহিম নামের এক যুবদলকর্মীকে। তিনটি সিএনজি ট্যাক্সি নিয়ে ১০-১২ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা করে তাকে। তার মাথায় ও বুকে গুলি লাগে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি শর্টগানের গুলির খোসা উদ্ধার করে।

নিহত ইব্রাহিম রাউজান সদর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের মোহাম্মদ আলমের ছেলে।

ইব্রাহিমের চাচা আবদুল হালিম বলেন, আমরা স্টেশনে সবাই বসেছিলাম। হঠাৎ তিনটি সিএনজিচালিত ট্যাক্সিতে এসে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে থাকে। এ সময় ভাইপো ইব্রাহিমের মাথায় গুলি লাগে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি শর্টগানের গুলির খোসা উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বখতিয়ারের মা ফিরোজা বেগম গত ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রায়হানসহ সাতজনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- সাজ্জাদ প্রকাশ ছোট সাজ্জাদ, সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না, মো. হাছান, মোবারক হোসেন ইমন, খোরশেদ ও বোরহান।

বাকলিয়ার জোড়া খুনে তিনটি পিস্তল ও একটি শর্টগান ব্যবহারের তথ্য পায় পুলিশ। রাউজানে ইব্রাহিম খুনেও ব্যবহৃত হয়েছে শর্টগান। ধারণা করা হচ্ছে, বাকলিয়ায় ব্যবহৃত একই শর্টগান রাউজানে ব্যবহার করেছেন রায়হান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সন্ত্রাসী সাজ্জাদের প্রধান সহযোগী রায়হান। গত ২৯ আগস্ট নগরীর অক্সিজেন-হাটহাজারীর পশ্চিম কুয়াইশে গুলি করে হত্যা করা হয় দুই বন্ধু মাসুদ ও আনিছকে। এর এক মাসের মাথায় গত ২১ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও অদূরপাড়া জাগরণী ক্লাব সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে গুলি করে হত্যা করা হয় ইট-বালি ব্যবসায়ী তাহসীনকে। প্রতিটি খুনের ঘটনায় সাজ্জাদের সাথে রায়হান জড়িত। সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর রায়হান রাউজান চলে যান।

রাউজান সদর এলাকার মানবাধিকার কর্মী মোজাম্মেল হক জানান, সন্ত্রাসী রায়হানের কর্মকাণ্ডে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। একটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যায় সে গত সাত মাস ধরে সন্ত্রাসী রায়হান নগর থেকে গ্রামে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে প্রাণহানির ঘটনা আমাদের সকলের নজরে এসেছে, তার বাইরে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এমন কোন অপরাধ নাই সে করছে না। তার ব্যাপারে এতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটকাতে পারছে না তার উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, ইব্রাহিম খুনের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ওসি আরও বলেন, ইব্রাহিম হত্যার মূল কারিগর রায়হান। ইব্রাহিম হত্যায় রায়হান সরাসরি জড়িত। এর আগে গত ৩০ মার্চ রাত সোয়া ২টায় নগরীর চকবাজার থানার বাকলিয়া এক্সেস রোডের শেষ মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় বখতিয়ার হোসেন মানিক ও আবদুল্লাহ আল রিফাত নামে দুই যুবককে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গত তিন মাসে ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ডে রায়হান জড়িত

চট্টগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হানকে আটকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: গত এক মাসে তিনটি খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন ‘দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী’ রায়হান (৩৫)। খুন করে নগর থেকে গ্রাম দাপিয়ে বেড়ালেও কথায় কথায় গুলি ছুড়তে অভ্যস্ত রায়হানের হদিস পাচ্ছে না পুলিশ! কারাবন্দী ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের প্রধান সহযোগী হিসেবে পরিচিত রায়হান রাউজানের দক্ষিণ-পূর্ব রাউজান গ্রামের মৃত বদিউল আলমের ছেলে।

গত ২২ এপ্রিল দুপুর ১টায় রাউজান সদর ইউনিয়নের পূর্ব রাউজান ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী পাড়ায় সিএনজি ট্যাক্সি স্টেশন এলাকায় দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় ইব্রাহিম নামের এক যুবদলকর্মীকে। তিনটি সিএনজি ট্যাক্সি নিয়ে ১০-১২ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা করে তাকে। তার মাথায় ও বুকে গুলি লাগে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি শর্টগানের গুলির খোসা উদ্ধার করে।

নিহত ইব্রাহিম রাউজান সদর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের মোহাম্মদ আলমের ছেলে।

ইব্রাহিমের চাচা আবদুল হালিম বলেন, আমরা স্টেশনে সবাই বসেছিলাম। হঠাৎ তিনটি সিএনজিচালিত ট্যাক্সিতে এসে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে থাকে। এ সময় ভাইপো ইব্রাহিমের মাথায় গুলি লাগে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি শর্টগানের গুলির খোসা উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বখতিয়ারের মা ফিরোজা বেগম গত ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রায়হানসহ সাতজনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- সাজ্জাদ প্রকাশ ছোট সাজ্জাদ, সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না, মো. হাছান, মোবারক হোসেন ইমন, খোরশেদ ও বোরহান।

বাকলিয়ার জোড়া খুনে তিনটি পিস্তল ও একটি শর্টগান ব্যবহারের তথ্য পায় পুলিশ। রাউজানে ইব্রাহিম খুনেও ব্যবহৃত হয়েছে শর্টগান। ধারণা করা হচ্ছে, বাকলিয়ায় ব্যবহৃত একই শর্টগান রাউজানে ব্যবহার করেছেন রায়হান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সন্ত্রাসী সাজ্জাদের প্রধান সহযোগী রায়হান। গত ২৯ আগস্ট নগরীর অক্সিজেন-হাটহাজারীর পশ্চিম কুয়াইশে গুলি করে হত্যা করা হয় দুই বন্ধু মাসুদ ও আনিছকে। এর এক মাসের মাথায় গত ২১ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও অদূরপাড়া জাগরণী ক্লাব সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে গুলি করে হত্যা করা হয় ইট-বালি ব্যবসায়ী তাহসীনকে। প্রতিটি খুনের ঘটনায় সাজ্জাদের সাথে রায়হান জড়িত। সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর রায়হান রাউজান চলে যান।

রাউজান সদর এলাকার মানবাধিকার কর্মী মোজাম্মেল হক জানান, সন্ত্রাসী রায়হানের কর্মকাণ্ডে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। একটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যায় সে গত সাত মাস ধরে সন্ত্রাসী রায়হান নগর থেকে গ্রামে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে প্রাণহানির ঘটনা আমাদের সকলের নজরে এসেছে, তার বাইরে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এমন কোন অপরাধ নাই সে করছে না। তার ব্যাপারে এতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটকাতে পারছে না তার উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, ইব্রাহিম খুনের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ওসি আরও বলেন, ইব্রাহিম হত্যার মূল কারিগর রায়হান। ইব্রাহিম হত্যায় রায়হান সরাসরি জড়িত। এর আগে গত ৩০ মার্চ রাত সোয়া ২টায় নগরীর চকবাজার থানার বাকলিয়া এক্সেস রোডের শেষ মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় বখতিয়ার হোসেন মানিক ও আবদুল্লাহ আল রিফাত নামে দুই যুবককে।