শিক্ষক বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’বির্তকের পর হয়ে গেলেন সমবায় ফেডারেশনের উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ০৯:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / ২৩ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়েছেন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে লাইসেন্সের একটি ছবি সংযুক্ত করে এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের লেখেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা জনাব বিল্লাল হোসেনের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি ঠিকাদারি তালিকাভুক্তির কপি হাতে এসেছে। লাইসেন্সটি যাচাই করে দেখা যায়, এ বছরের ১৬ মার্চ নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (কুমিল্লা) লাইসেন্সটি ইস্যু করেন।
এ বিষয়টি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ঠিকাদারি লাইসেন্স” ইস্যু বির্তক শেষ না হতেই জনাব বিল্লাল হোসেন বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের উপদেষ্টা পদ পেয়ে যায়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি এইচ এম হাসান আল মামুন (লিমন) এর ২১ এপ্রিল ২০২৫ এ স্বাক্ষরিত পত্রে দেখা যায় ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমবায় সমিতি আইন ও বিধি এবং উপ-আইন’র ৩৪ ধারা অনুযায়ী জনাব বিল্লাল হোসেনকে বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশন-এর সম্মানিত উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করা হয়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় রাজধানীর দিলকুশায় ফেডারেশন ভবনে বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা মো. বিল্লাল হোসেনের সাথে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জুলকারনাইন সায়ের আরও লেখেন, এ বিষয়ে জানতে আমি উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি প্রথমে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান ও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। পরে তিনি যাচাই করে জানান, লাইসেন্সের বিষয়টি সঠিক, কিন্তু এটা তার জ্ঞাতসারে করা হয়নি। স্থানীয় জনৈক ঠিকাদার তার শিক্ষক পিতাকে ঠিকাদারি লাইসেন্সটি করতে প্ররোচিত করেন। তবে এই লাইসেন্সের ব্যবহার করে কোনো ধরনের কাজ করা হয়নি।