রাউজানে দুই দিনের ব্যবধানে আরও ১ যুবদল কর্মী খুন, দিন দুপুরে গুলি করে সন্ত্রাসীরা

- আপডেট সময় : ০৫:২৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় দুইদিনের ব্যবধানে যুবদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার গাজীপাড়া গ্রামের বাজারের একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনটি অটোরিকশায় করে ১০ থেকে ১২ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাঁর মাথায় ও বুকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ সময় তাঁর বাবা মুহাম্মদ আলম ও চাচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিমকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। গায়ে গুলি না লাগলেও পালাতে গিয়ে পড়ে তাঁরা আহত হয়েছেন।
খুনের শিকার মো. ইবরাহীম (২৬) নামে ওই যুবক স্থানীয় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গরিব উল্লাহপাড়া গ্রামের ভান্ডারি কলোনির একটি বাসায় ভাত খাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা যুবদলকর্মী মুহাম্মদ মানিক আবদুল্লাহকে (৩৬) গুলি করে হত্যা করে। নিহত মানিক আবদুল্লাহও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। দুই দিনের ব্যবধানের পর পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘রাউজানের শীর্ষসন্ত্রাসী রায়হানের নেতৃত্বে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। ইবরাহীমের মাথার পেছনে গুলি লেগেছে। সে আগে ছাত্রদল করত। এখন কি করে সেটা স্পষ্ট বলতে না পারলেও সে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।’
আগের খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগের খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকলেও যতটুকু জানতে পেরেছি বিএনপির অন্তঃকোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আরও এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকেও চমেকে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল হালিম নামে এক যুবদল নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইবরাহীম আমার ভাতিজা হয়। আমরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে ১০ থেকে ১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী ইব্রাহিমকে মাথায় গুলি করে দ্রুত চলে যায়। আমরাও যে যেদিকে পেরেছি পালিয়ে গিয়েছি। রাউজানে আর কত রক্ত ঝরলে, আর কত প্রাণ গেলে এসব বন্ধ হবে। আমরা এর বিচার চাই।’