চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ ছয় জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে বলে সুত্র জানাই।
অপহৃতদের মধ্যে রিশান চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য। তিনি চবি’র আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের শিক্ষার্থী। অপহরণের শিকার বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন- চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণী বিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভিগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-৩৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এই ঘটনায় ইউপিডিএফকে (প্রসীত) দায়ী করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা ।
পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা বলেন, রিশান আমাদের ছাত্র সংগঠনের চবি শাখার সদস্য। তারা গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্ত বাসে টিকেট না পাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেছিল।
সকাল ৭ টার গাড়িতে তাদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা। কিন্ত গিরিফুল এলাকা থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়। এই ঘটনার জন্য আমরা ইউপিডিএফকে (প্রসীত) দায়ী করছি। তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, অপহরণের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সবসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোন মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, চবির ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরেছি। অপহরণ কান্ডে পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।