বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি যে ঘটনায় যুক্ত ছিলেন, সে বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করার কথাও বলেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এসব নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে ডিএমপি।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন সই করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম, বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও, অডিও, স্থির চিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেফতার করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, ‘কোনও নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন এবং প্রকৃত অপরাধীরা যেন ছাড়া না পান সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে সঠিক তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কোনও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার না করতে গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতর থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওই নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেসব মামলা হচ্ছে, সেগুলোর প্রাথমিক তদন্তে কারও বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলে তার নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করার কথাও বলা হয়েছে।
বিভিন্ন সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও বলেছেন, মামলা হলেই গ্রেফতার করতে হবে বিষয়টি এমন নয়।