গাইবান্ধায় মারামারির ঘটনায় আটক ৩
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ নেতা আহত

- আপডেট সময় : ১১:২১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1,"curves":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৬ নেতা আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের মণ্ডলের হাটে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ছাত্রনেতা ও ছাপড়হাটি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়ক ঘেঁষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাবুর ওষুধের দোকানের সামনে রাখা বেঞ্চে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবুর ভাই আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল মাস্টার ও মঞ্জুরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন শফিকুলকে মারধর করেন।
পরে শফিকুল জীবন রক্ষায় পাশের আলম ডাক্তারের দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও হামলা করেন তারা। খবর পেয়ে পাশেই দলীয় কার্যালয় থেকে যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা শফিকুলকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ৬ জন আহত হন।
পরে বিক্ষুব্ধ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বাবুর দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল মাস্টার ও তার ভাই মঞ্জুরুলসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
হামলার ঘটনাটি আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাইদের পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন ছাপড়হাটি ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক এফ আই জাহাঙ্গীর মণ্ডল। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ছাড়রহাটি ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলম কিবরিয়া মির্জা, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আলম মিয়া ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গোলম কিবরিয়া মির্জার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।