ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’বির্তকের পর হয়ে গেলেন সমবায় ফেডারেশনের উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পুলিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যাটারি রিকশাচালকদের সংঘর্ষ, আহত ১০ চট্টগ্রামে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, উদ্ধার ১০ ভরি স্বর্ণ হাটহাজারীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২ সোনাকানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসিম নগরীর সদরঘাট এলাকায় আটক রাউজানে দুই দিনের ব্যবধানে আরও ১ যুবদল কর্মী খুন, দিন দুপুরে গুলি করে সন্ত্রাসীরা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য ড. এসএম নসরুল কাদির ১১৬তম ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলা শুরু হবে ২৪ এপ্রিল, চলবে ৩ দিন বোয়ালখালীতে মেশিনের আঘাতে প্রাণ কেড়ে নিল এক শ্রমিকের আনোয়ারায় ঠিকাদারি দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ৩ পুলিশসহ আহত ১৫

ঘুমিয়ে ছিল সাত হাজার বছর ধরে, গবেষকরা হাত দিতেই জেগে উঠল দু’জনে, তারপর…

আন্তর্জাতিক ডেক্স
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স : সাত হাজার বছর আগের মমি হাতে পেলেন গবেষকরা। এটিকে পাওয়া গিয়েছে সাহারা মরুভূমি থেকে। তবে এখান থেকে উঠে এসেছে অন্য তথ্য।

সাহারা মরুভূমিতে রয়েছে টাকারকোড়ি পাহাড়। সেখান থেকেই পাওয়া গিয়েছে সাত হাজার বছর আগের এই মমিটি। এই মমিকে বিশ্লেষণ করে একেবারে অবাক করা তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা। তারা দুটি মমি পেয়েছেন। সেখানে একটি পুরুষ এবং নারীর মমি রয়েছে। তবে দেখা গিয়েছে সেই সময়ের মমির যে ডিএনএ রয়েছে তা থেকে বর্তমান যুগের মানুষের ডিএনএ-র কোনও মিল নেই।

গবেষকরা মনে করছেন সাহারা সেইসময় সবুজে ভরা ছিল। তাকে সকলে তখন গ্রিন সাহারা বলে ডাকত। এই মমিগুলি সেই সময়ের বলেই মনে করা হচ্ছে। উত্তর আফ্রিকার মানুষের এই মমিগুলি থেকে এবার উঠে আসতে পারে অবাক করা তথ্য।

গবেষকরা মনে করছেন ১৪ হাজার ৮০০ বছর থেকে শুরু করে ৫ হাজার ৫০০ বছর আগে আফ্রিকার যে সভ্যতা ছিল তারা এই মমিগুলি তৈরি করেছিল। সেইসময় পৃথিবীতে জলের পরিমান অনেক বেশি ছিল। তাই সাহারা সেইসময় সবুজ ছিল। ফলে সেখানে কৃষিকাজ অতি সহজেই হত। সেইসময় যারা এখানে বাস করত তারা সাহারাকে নিজেদের বাসভূমি হিসেবে বেছে নিয়েছিল। তারা মমি তৈরি করে চমকে দিয়েছিল সকলকে।

তবে যে দুটি মমি পাওয়া গিয়েছে সেগুলির ডিএনএ থেকে দেখা গিয়েছে এগুলি বর্তমান মানুষের ডিএনএ থেকে একেবারে আলাদা। কেন এমন অবস্থা তৈরি হল সেটা নিয়েই এবার চিন্তায় পড়েছেন গবেষকরা। যদি মানুষের চরিত্র এক থাকে। তাহলে আলাদা ডিএনএ তৈরি হতে পারে না। সেখানে এমন আলাদা ডিএনএ কেন তৈরি হবে। তাহলে কী এজন্য পরিবেশ বিরাট প্রভাব ফেলেছিল।

প্রকৃতি সর্বদাই বিবর্তনের পথে চলে। সেখানে সেই সময়ের যে ডিএনএ তৈরি হয়েছিল তা এখনকার থেকে ছিল একেবারে আলাদা। ফলে এটাকে প্রকৃতির খেলা বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে সেইসময় মানুষ যেভাবে মমি তৈরি করেছিল সেটা বিরাট অবাক করেছে গবেষকদের।

সুত্র: আজকাল

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘুমিয়ে ছিল সাত হাজার বছর ধরে, গবেষকরা হাত দিতেই জেগে উঠল দু’জনে, তারপর…

আপডেট সময় : ০২:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স : সাত হাজার বছর আগের মমি হাতে পেলেন গবেষকরা। এটিকে পাওয়া গিয়েছে সাহারা মরুভূমি থেকে। তবে এখান থেকে উঠে এসেছে অন্য তথ্য।

সাহারা মরুভূমিতে রয়েছে টাকারকোড়ি পাহাড়। সেখান থেকেই পাওয়া গিয়েছে সাত হাজার বছর আগের এই মমিটি। এই মমিকে বিশ্লেষণ করে একেবারে অবাক করা তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা। তারা দুটি মমি পেয়েছেন। সেখানে একটি পুরুষ এবং নারীর মমি রয়েছে। তবে দেখা গিয়েছে সেই সময়ের মমির যে ডিএনএ রয়েছে তা থেকে বর্তমান যুগের মানুষের ডিএনএ-র কোনও মিল নেই।

গবেষকরা মনে করছেন সাহারা সেইসময় সবুজে ভরা ছিল। তাকে সকলে তখন গ্রিন সাহারা বলে ডাকত। এই মমিগুলি সেই সময়ের বলেই মনে করা হচ্ছে। উত্তর আফ্রিকার মানুষের এই মমিগুলি থেকে এবার উঠে আসতে পারে অবাক করা তথ্য।

গবেষকরা মনে করছেন ১৪ হাজার ৮০০ বছর থেকে শুরু করে ৫ হাজার ৫০০ বছর আগে আফ্রিকার যে সভ্যতা ছিল তারা এই মমিগুলি তৈরি করেছিল। সেইসময় পৃথিবীতে জলের পরিমান অনেক বেশি ছিল। তাই সাহারা সেইসময় সবুজ ছিল। ফলে সেখানে কৃষিকাজ অতি সহজেই হত। সেইসময় যারা এখানে বাস করত তারা সাহারাকে নিজেদের বাসভূমি হিসেবে বেছে নিয়েছিল। তারা মমি তৈরি করে চমকে দিয়েছিল সকলকে।

তবে যে দুটি মমি পাওয়া গিয়েছে সেগুলির ডিএনএ থেকে দেখা গিয়েছে এগুলি বর্তমান মানুষের ডিএনএ থেকে একেবারে আলাদা। কেন এমন অবস্থা তৈরি হল সেটা নিয়েই এবার চিন্তায় পড়েছেন গবেষকরা। যদি মানুষের চরিত্র এক থাকে। তাহলে আলাদা ডিএনএ তৈরি হতে পারে না। সেখানে এমন আলাদা ডিএনএ কেন তৈরি হবে। তাহলে কী এজন্য পরিবেশ বিরাট প্রভাব ফেলেছিল।

প্রকৃতি সর্বদাই বিবর্তনের পথে চলে। সেখানে সেই সময়ের যে ডিএনএ তৈরি হয়েছিল তা এখনকার থেকে ছিল একেবারে আলাদা। ফলে এটাকে প্রকৃতির খেলা বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে সেইসময় মানুষ যেভাবে মমি তৈরি করেছিল সেটা বিরাট অবাক করেছে গবেষকদের।

সুত্র: আজকাল