চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধৃত দুই সমন্বয়ক, পুলিশে সোপর্দ

- আপডেট সময় : ০৪:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
- / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের একটি হোটেলে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেওয়া দুজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এর আগের রাতেও তারা বাকলিয়া এলাকার একটি হোটেলে গিয়ে সেখানে বোর্ডারদের জিম্মি করে চাঁদা নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবারই তারা ‘ছাত্রলীগ’ ধরার নাম করে মূলত চাঁদাবাজির উদ্দেশ্য নিয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
এই দুই ‘সমন্বয়ক’ হলেন— আবির চৌধুরী ও শাহরিয়ার সিকদার। এর মধ্যে আবির চৌধুরী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব। শাহরিয়ারও সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত আছেন বলে জানা গেছে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেখানকার লোকজন আমাদের জানিয়েছেন, আবির ও শাহরিয়ার ছাড়াও আরও কয়েকজন মিলে আগ্রাবাদ এলাকার বরিশাল হোটেলে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। পরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হলে আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি।’
জানা গেছে, গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের নেতারা গিয়ে ডবলমুরিং থানা থেকে আবির ও শাহরিয়ারকে ছাড়িয়ে আনেন।
এদিকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে বাকলিয়া এলাকার কর্ণফুলী সেতু এলাকার নোমান কলেজ রোডের হোটেল জিএম প্যালেসে একদল যুবক গিয়ে হোটেলের রিসিপশন ঘিরে আছে। তাদের কাউকে কাউকে বিভিন্ন রুমে ঢুঁ মারতে দেখা যায়। এ সময় সেখানে আবির চৌধুরী ও শাহরিয়ার সিকদার দেখা যায়। এর একপর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতিও সেখানে দেখা গেছে। ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে তারা সেখানে চাঁদা নিতে গিয়েছিল— এমন অভিযোগ উঠলেও তাৎক্ষণিকভাবে সেটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
এদিকে আগ্রাবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটায় শাহরিয়ার সিকদার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, ‘দুপুর দুইটায় এক লোক আমাকে কল দিয়ে বলে আগ্রাবাদ হোটেলের পাশের একটি অফিসে ডাবল মুরিং থানার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারুফ মির্জা অবস্থান করছে। সে খুনি নুরুল আজম রনির বিশ্বস্ত এবং একনিষ্ঠ সহচর। ওই সময় আমি এবং আমার সহযোদ্ধা আবির চৌধুরী আমাদেরকে দেওয়া লোকেশনে পৌঁছাই। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরে দেখি ওখানে মারুফ মির্জা অবস্থান করছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি আপনি কি কোন সংগঠনের পোস্টে ছিলেন কিনা? সে আমাকে বুক ফুলিয়ে বুক উঁচু করে বলে আমি এখনও ডাবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তখন আমার সহযোদ্ধা আবির চৌধুরী এসআই শহীদুরকে ফোন দিয়ে বিষয়টির ব্যাপারে অবগত করে এবং তিনি আমাদেরকে আসতেছে বলে আশ্বাস দেন। আসার আগে মারুফ মির্জা আমাকে তার একাউন্ট থেকে ২৫ লক্ষ টাকা অফার করেন এবং বলেন আপনি আমাকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম্বার দিন, আমি আপনাকে ওই একাউন্টে আমার টাকা ট্রান্সফার করে দিচ্ছি। আমাকে প্রস্তাবনা দেওয়ার সময় ওখানে তার একজন ব্যবসায়ী পার্টনার উপস্থিত ছিল। আমি রাজি না হওয়ায় সে তার এলাকার কিছু বিএনপির ছেলে ডেকে আনে এবং আমাদের ওপরে আক্রমণ করার চেষ্টা করে।’